ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি! (২৩ অক্টোবর ঘিরে বিশেষ সতর্কতা)
দেশের অন্যতম প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের আহূত ২৩ অক্টোবরের (বৃহস্পতিবার) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম জানিয়েছে, এই বিধিনিষেধ আজ (মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর) রাত থেকেই কার্যকর হবে এবং সমাবেশের দিন (২৩ অক্টোবর) পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
কী কী বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে?
ঢাবি প্রশাসনের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধান বিধিনিষেধগুলো হলো:
- ব্যারিকেড স্থাপন: ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রতিটি মূল পয়েন্টে (যেমন: নীলক্ষেত, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, পলাশী) ব্যারিকেড বসিয়ে যান ও জনচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
- আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী—সকলকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় অবশ্যই নিজ নিজ বৈধ পরিচয়পত্র (ID Card) প্রদর্শন করতে হবে। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
- বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের বহিরাগতের প্রবেশ ও অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেন এই কড়াকড়ি? (উদ্দেশ্য)
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বহিরাগতদের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির নজির রয়েছে।
প্রশাসন নিশ্চিত করতে চায়:
- বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।
- ক্যাম্পাসের সম্পদ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা যেন কোনো হুমকির মুখে না পড়ে।
- রাজনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল হিসেবে যেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করা না যায়।
শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় সদস্যকে এই সাময়িক অসুবিধার জন্য ধৈর্য ধারণ করতে এবং প্রক্টরিয়াল টিম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল পরিচয়পত্র সাথে রাখেন।
শেষ কথা
রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সকল পক্ষের সহযোগিতায় এই সময়টি শান্তিপূর্ণভাবে অতিক্রম করা সম্ভব হবে।