পরীক্ষায় অনিয়ম: জিরো টলারেন্স! ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর হুঁশিয়ারি
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (ইআবি) কর্তৃপক্ষ তাদের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাগুলোতে স্বচ্ছতা এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে একটি অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসন্ন ফাজিল (পাস) পরীক্ষা উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে।
আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে এই পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন এই কঠোর হুঁশিয়ারি?
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য হলো একটি মানসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য পরীক্ষা আয়োজন করা, যা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখে। এই লক্ষ্য অর্জনে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে:
- নকলমুক্ত পরিবেশ: প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র যেন শতভাগ নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিচালিত হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।
- কঠোর নজরদারি: কেন্দ্র পরিদর্শনে নিয়োজিত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং পরিদর্শকরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের কঠোর নজরদারি বজায় রাখবেন।
- কারও ছাড় নেই: পরীক্ষায় অনিয়মের সাথে будь শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী—যেই জড়িত থাকুক না কেন, প্রমাণ সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লক্ষ্য: পরীক্ষার মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষা
মতবিনিময় সভায় বক্তারা একমত পোষণ করেন যে, পরীক্ষার মান রক্ষা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির সাথে সরাসরি জড়িত। কোনো ধরনের অসদুপায় বা অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
এই হুঁশিয়ারি মূলত সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চায়, শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও প্রস্তুতির উপর ভিত্তি করেই ফলাফল অর্জন করুক, কোনো অবৈধ পন্থায় নয়।
শেষ কথা
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটি শুধুমাত্র পরীক্ষার পবিত্রতাই রক্ষা করবে না, বরং যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করবে। আশা করা যাচ্ছে, প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থানের ফলে আসন্ন ফাজিল পরীক্ষাগুলো সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত এবং আদর্শ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।